ফকিরহাট : বাগেরহাটের ফকিরহাটে মৌসূমী পিঠা পুলির পসরা জানান দিচ্ছে শীতের আগমনী বার্তা। মঙ্গলবার কার্তিকের সন্ধ্যায় উপজেলার বিভিন্ন মোড়ে মৌ মৌ করছে পিঠার ঘ্রাণ। মাটির চুলায় গরম ভাপে চালের গুড়া, খেজুর গুড়, নারিকেল দিয়ে তৈরি করে রাখা হচ্ছে ভাপা পিঠা। কোথাও আবার চিতই পিঠা তৈরি করে ধনেপাতা-কাঁচা মরিচের চাটনি দিয়ে খাওয়ার বন্দোবস্ত করা হয়েছে। এসব পিঠা খেতে রসনা প্রেমিরা ভিড় জমাচ্ছেন দোকানে। পিঠার ঘ্রাণ জানান দিচ্ছে শীতের আমেজ।
উপজেলার ডাকবাংলো মোড়, শান্তিগঞ্জের মোড়, কাটাখালী মোড় সহ বিভিন্ন স্থানে রাস্তার পাশে ও ভ্যানে উপর পিঠার পসরা সাজিয়ে বিক্রি করা হচ্ছে। প্রতিপিস ভাপা পিঠা ১৫ টাকা ও চিতই পিঠা প্রতিপিস ৫টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বেশি নিলে পাচ্ছেন মূল্য ছাড়। অনেকে রাস্তায় দাঁড়িয়ে ধোঁয়া ওঠা পিঠা উপভোগ করছেন আবার অনেকে পরিবারের জন্য কিনে নিয়ে যাচ্ছেন।
পিঠা বিক্রেতা জামাল শেখ জানান, তিনি এ মৌসূমে সবেমাত্র শুরু করেছেন পিঠা বিক্রি। প্রথম দিনে ৫০০ পিঠা তৈরি করবেন। সন্ধ্যা থেকে ২ ঘন্টায় প্রায় দুইশত পিঠা বিক্রি হয়েছে। শীত বাড়লে তিনি প্রতি দিন গড়ে ১হাজার থেকে দেড় হাজার পিঠা বিক্রি করবেন। অল্প পুঁজি নিয়ে চাল, গুড়, নারিকেল ইত্যাদি দিয়ে পিঠা তৈরি করে বিক্রি করেন। এতে উপকরণ খরচ বাদ দিয়ে লাভও হচ্ছে বেশ।
উপজেলার বিভিন্ন মোড়ে সন্ধ্যা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত লোভনীয় স্বাদের পিঠা কিনতে নানা বয়সী মানুষের দেখা মেলে। ধোঁয়া ওঠা পিঠার দৃশ্য দেখে চলতি ভ্যান থামিয়ে পিঠা কিনছেন ক্রেতা সামিহা আক্তার। তিনি বলেন, শীত পুরোপুরি না নামতেই ভাপা পিঠা দেখেই আনন্দ লাগছে। তাই পিঠা খেতে দাঁড়ালাম।
পিঠার ক্রেতা অটো চালক সমির ঘোষ জানান, সবকিছুর দাম বাড়লেও পিঠার দাম গতবছরের মতই আছে ১৫ টাকা আছে। তাই তিনি নিজের ও পরিবারের জন্য পিঠা কিনে নিচ্ছেন।
শান্তিগঞ্জ মোড়ে অপর এক পিঠা ক্রেতা মনি শেখ জানান, বাড়িতে চিতই পিঠা বানানো কষ্টকর বলে এখান থেকে ৫টাকা পিস দরে গরম পিঠা কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। মিষ্টি দুধে ভিজিয়ে পরিবারের সবাই মিলে খাবেন।
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আব্দুল্লাহ আল ইমরান বলেন, ‘শীতের পিঠা পুলি বাংলার ঐতিহ্য ও লোকজ সংস্কৃতির অনুসঙ্গ। তবে স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে পিঠা তৈরি ও পরিবেশন করার বিষয়ে তিনি সকলকে আহব্বান জানান।
ফকিরহাটে পিঠা পুলির পসরা জানান দিচ্ছে শীতের আগমন
প্রকাশিতঃ নভেম্বর ৭, ২০২৪, ০০:১৫
Leave a Reply