সবাই সংস্কারের কথা বলছে, কেউ গরিব মানুষের কথা ভাবছে না: দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য

প্রকাশিতঃ অক্টোবর ২৬, ২০২৪, ১৬:৪৪

ডেস্ক নিউজ : সবাই শুধু সংস্কারের কথা বলছে, কিন্তু কেউ গরিব মানুষের কথা ভাবছে না বলে মন্তব্য করেছেন বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ও শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটির সভাপতি ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য। তিনি বলেছেন, “সবাই সংস্কার নিয়ে কথা বলছি। আমরা উপরিকাঠামো নিয়ে কথা বলছি, কিন্তু গরিব মানুষের কথা ভাবছি না।”

‘গণতান্ত্রিক পুনর্গঠনের জন্য সংলাপ’ শীর্ষক আয়োজনে করেছে সেন্টার ফর গভর্ন্যান্স স্টাডিজ (সিজিএস)। এই ধারাবাহিকতায় শনিবার (২৬ অক্টোবর) ‘গণতান্ত্রিক পুনর্গঠনের জন্য সংলাপ : অর্থনৈতিক নীতিমালা প্রসঙ্গ’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, “দ্রব্যমূল্য নিয়ে অনেক কথা হচ্ছে। সরকার বেশ কিছু উদ্যোগ ও পদক্ষেপ নিয়েছে। এখনো সুফল না এলেও হয়ত সামনে আসবে। ভূমিহীন কৃষকের কী হবে, গার্মেন্ট কর্মীদের সেলারি কত হবে, এসব নিয়েও আমাদের ভাবতে হবে।”

অন্তর্বর্তী সরকারের বিষয়ে শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটির সভাপতি বলেন, “এটা স্বাভাবিক কোনো সরকার নয়। মাত্র তিন মাস আগে এই সরকার এসেছে। রাষ্ট্রযন্ত্রের একটা ছেদ হয়েছে। যার কারণে নতুন করে প্রত্যাশা তৈরি হয়েছে। আলোচনা হওয়া নীতিগুলোইতো দেড় দশক ধরে আলোচনা করে আসছি। সেগুলো দেড় দশকে কেন বাস্তবায়ন হলো না? তাদের কাছে প্রশ্ন, কেন আপনারা বাস্তবায়ন করতে পারলেন না? রাজনীতিবিদরা এখন ব্যবসায়ী আর আমলারা এখন রাজনীতিবিদ হয়ে গেছে।”

আওয়ামী লীগ সরকারের সমালোচনা করে দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, “বিগত বছরে জাতীয় আয়, মূল্যস্ফীতি, খানা জরিপ, রপ্তানি আয়ের ভুল তথ্য সরবরাহ করা হয়েছে। বিচার বিভাগকে প্রভাবিত করেছে স্বার্থগোষ্ঠীর মাধ্যমে। চুরির ঘটনাও নেওয়া যেত না এলাকার নেতার পারমিশন ছাড়া। ডিএনএ টেস্ট ছাড়া ট্রেড লাইসেন্স পেত না।”

দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য আরও বলেন, “উন্নয়নের কথা বলে টাকা ছাপিয়ে দিল। এ রকম একটা ব্যবস্থার পর নতুন একটা সরকার দায়িত্ব নিয়েছে। রাতারাতি পরিবর্তন তো আসবে না। ওনার (সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা) কোনো নির্বাচনী অঙ্গীকার ছিল না, জবাবদিহিতা ছিল না।”

শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটির সভাপতি আরও বলেন, দ্রব্যমূল্য নিয়ে অনেক কথা হচ্ছে। সরকার বেশ কিছু উদ্যোগ ও পদক্ষেপ নিয়েছে। এখনো সুফল না এলেও হয়ত সামনে আসবে।

আলোচনায় আরও অংশ নেন সিজিএস- এর চেয়ার মুনিরা খান, সিজিএস- এর নির্বাহী পরিচালক জিল্লুর রহমান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. রাশেদ আল মাহমুদ তিতুমীর, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপচার্য ও অর্থনীতিবিদ ড. সায়মা হক বিদিশা, অর্থনীতিবিদ প্রফেসর আবু আহমেদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক শাহিদুল ইসলাম জাহিদ, এফবিসিসিআই-এর সাবেক সভাপতি আবদুল আউয়াল মিন্টু, মীর নাসির হোসেন ও মো: জসিম উদ্দিন বিসিআই-এর সভাপতি আনোয়ার-উল আলম চৌধুরী (পারভেজ) ও সাবেক সভাপতি শাহেদুল ইসলাম হেলাল এনবিআর এর সাবেক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আবদুল মজিদ, অর্থনীতিবিদ ড. জামাল উদ্দিন আহমেদ, এফবিসিসিআই-এর স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান আসিফ ইব্রাহিম, অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক এম আবু ইউসুফ, বারভিডা’র সভাপতি আব্দুল হক, ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির চেয়ারম্যান সবুর খান, ইস্টয়েস্ট ইউনিভার্সিটির সহকারী অধ্যাপক পারভেজ করিম আব্বাসী প্রমুখ।

Leave a Reply