ডেস্ক নিউজ : দাকোপ উপজেলার পানখালী ইউনিয়নের লক্ষ্মীখোলা পিচের মাথা নামক স্থানে পাউবো’র ৩১নং পোল্ডারের ৫০ মিটার বাঁধ নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে।
শুক্রবার দিবাগত গভীর রাতে ভদ্রা নদীর প্রবল জোয়ারের তোড়ে লোকালয়ে ঢুকে পড়া নদীর পানিতে মুহূর্তের মধ্যে ৪টি গ্রামে শত শত কৃষকের হাজার বিঘা রোপা আমনের ফসল তলিয়ে যায় এবং এলাকার প্রায় অর্ধশতাধিক পুকুরের সাদা মাছ ভেসে গেছে। ভেড়িবাঁধে ছোট খাটো নদী ভাঙন ও ফাটল মেরামতে পাউবো’র উদাসীনতা এর জন্য দায়ী মনে করেন এলাকাবাসী।
সরেজমিনে স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা গেছে, লক্ষ্মীখোলা পিচের মাথায় বেশ কয়েক সপ্তাহ ধরে ভদ্রা নদীর ভাঙনে অধিক ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ে। এ নদী ভাঙন স্থানে পানি উন্নয়ন বোর্ড কার্যত পদক্ষেপ গ্রহণ না করায় গত শুক্রবার গভীর রাতে বাঁধটি নদীগর্ভে বিলীন হয়। নদীর পানি লোকালয়ে ঢুকে পড়ায় পানখালী ইউনিয়নের মৌখালী, মৌখালী পশ্চিমপাড়া, কাটাবুনিয়া, লক্ষ্মীখোলা গ্রামের প্রায় কয়েক হাজার বিঘা জমির রোপা আমন ক্ষেত তলিয়ে যায় এবং গ্রামের অর্ধ পুকুরের সাদা মাছ ভেসে গেছে। পানি নেমে যাওয়ার সাথে সাথে পানি উন্নয়ন বোর্ডের ভেঙ্গে যাওয়া বাঁধটি আটকানোর জন্য প্রয়োজনীয় সারঞ্জম নিয়ে কর্মতৎপরতা চালিয়ে যেতে দেখা গেছে।
মৌখালী গ্রামের কৃষক ফজলু ফকির, আসলাম আহম্মেদ, আমানুলাহ শেখ, তৈয়বুর রহমান, সঞ্জয় বালা, পরিতোষ মন্ডল জানান ছোট ছোট নদী ভাঙনগুলো সংস্কারের জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্তৃপক্ষকে অবগত করা হলেও তারা ভাঙ্গন রোধে এগিয়ে আসেন না। পাউবো’র উদাসীনতার ফলে ওই ভাঙ্গনটি ক্রমান্বয়ে দীর্ঘ হয়ে বাঁধটি এক সময়ে নদীগর্ভে বিলীন হয়। এছাড়া পানি উন্নয়ন বোর্ড দীর্ঘ পরিকল্পনা ছাড়াই তড়িঘড়ি করে ঝুঁকিপূর্ণ বাঁধ বা নদীগর্ভে বিলীন হওয়া বাঁধ সংস্কারের ফলে ওই বাঁধটি অনেকাংশে দুর্বল থাকে। তারা বলেন, তড়িঘড়ি করে বাঁধ নির্মাণের ফলে দেখা গেছে ওই বাঁধটি সংস্কারের দুই এক বছর যেতে না যেতেই আবারও নদী গর্ভে বিলীন হয়েছে। আমরা নদী শাসন পূর্বক বিকল্প বাঁধ নির্মাণ দেখতে চাই।
পানি উন্নয়ন বোর্ড-২ এর নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ আশরাফুল আলম বলেন তারা প্রতিটি ঝুঁকিপূর্ণ বাঁধ রক্ষনা বেক্ষনের জন্য মাঠ পর্যায়ে কাজ করছেন। লক্ষ্মীখোলা পিচের মাথায় নদীগর্ভে বিলীন হওয়া অংশে পানি নেমে যাওয়ার সাথে সাথে পাউবো কর্তৃপক্ষ বাঁধ আটকানোর কাজ শুরু করেছে এবং যা আটকানো সম্ভব হবে। তিনি অপর এক প্রশ্নের উত্তরে বলেন, ৩১নং পোল্ডারের দুর্যোগ সহনশীল বাঁধ নির্মাণের জন্য পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় মেগা প্রকল্প হাতে নেয়। এখন এ বাঁধ নির্মাণ প্রকল্পের চূড়ান্ত নক্সা ডিজাইন এবং পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে পাঠাতে হবে।
Leave a Reply