লেবাননে ৪৪০ হিজবুল্লাহ যোদ্ধাকে হত্যার দাবি ইসরায়েলের

প্রকাশিতঃ অক্টোবর ৬, ২০২৪, ১৪:২৯

ডেস্ক নিউজ : লেবাননে স্থল অভিযান শুরুর পর ছয় দিনে ৪৪০ হিজবুল্লাহ যোদ্ধাকে হত্যার দাবি করেছে ইসরায়েল। শনিবার (৫ অক্টোবর) ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে। খবর টাইমস অব ইসরায়েল।

ইসরায়েলের সেনাপ্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল হারজি হালেভি বলেন, ‘প্রতিরক্ষা বাহিনী হিজবুল্লাহর বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত রাখবে। লক্ষ্যপূরণ হওয়ার আগ পর্যন্ত অভিযানে কোনো বিরাম আসবে না, হিজবুল্লাহকেও কোনো প্রকার ছাড় দেওয়া হবে না।’

একইদিন সংবাদ সম্মেলনে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) মুখপাত্র রিয়ার অ্যাডমিরাল ড্যানিয়েল হাগারি বলেন, ‘আমরা হিজবুল্লাহ’র সন্ত্রাসীদের লেবাননের উত্তর দিকে ঠেলছি। তাদের একটি অংশ এলাকা থেকে পালিয়েছে, বাকিরা আমাদের সেনা সদস্যদের কাছে পরাজিত ও নিহত হয়েছে।’

গত বছরের অক্টোবরে ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসন শুরুর পর থেকে দখলদার দেশটির ভূখণ্ডে সীমিত পরিসরের হামলা চালিয়ে আসছিল ইরানের সমর্থনপুষ্ট সংগঠন হিজবুল্লাহ। ইসরায়েলও পাল্টা জবাব দিচ্ছিল। গত ১৭ সেপ্টেম্বর থেকে লেবাননে হামলা জোরদার করে ইসরায়েল। এরপর বৈরুতের উপকণ্ঠে ইসরায়েলের হামলায় নিহত হন লেবাননের সশস্ত্র সংগঠন হিজবুল্লাহর প্রধান হাসান নাসরুল্লাহ।

লেবাননে ইসরায়েলি বাহিনীর হামলার মধ্যে ইসরায়েলি ভূখণ্ড লক্ষ্য করে ১৮০টির মতো ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ে ইরান। হামলায় হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি। এরপর দেশে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করে ইসরায়েল সরকার।

হামলার সময় লোকজনকে নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। বন্ধ করে দেওয়া হয় দেশটির আকাশসীমা। এ ছাড়া ইসরায়েল ও ইরানের মাঝামাঝি অবস্থানরত ইরাক ও জর্ডানও তাদের আকাশসীমা বন্ধ করে দেয়। বাংকারে আশ্রয় নেন ইসরায়েলের মন্ত্রিসভার সদস্যরা।

এমন পরিস্থিতিতে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ গাজায় যুদ্ধবিরতির পাশাপাশি ইসরায়েলকে অস্ত্র সরবরাহ বন্ধের আহ্বান জানান। গাজায় যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়ে আবার দিনশেষে ইসরায়েলকে অস্ত্র দিয়ে সাহায্য করা দেশের দ্বিমুখীতার নিন্দা জানান তিনি।

ম্যাক্রোঁর বক্তব্যের কড়া সমালোচনা করে নেতানিয়াহু বলেছেন, অস্ত্র সরবরাহে নিষেধাজ্ঞার আহ্বান জানানো দেশের সাহায্য ছাড়াই জয়ী হবে ইসরায়েল।

Leave a Reply