ডেস্ক নিউজ : দক্ষিণ ভিয়েতনামের দুটি চিড়িয়াখানায় বার্ড ফ্লুর সংক্রমণ মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। এই দুই চিড়িয়াখানায় এইচ৫এন১ বার্ড ফ্লুতে ৪৭টি বাঘ ছাড়াও মারা পড়েছে তিনটি সিংহ এবং একটি চিতা বাঘ। আজ বুধবার দেশটির রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদমাধ্যম এ তথ্য নিশ্চিত করে।
গত আগস্ট ও সেপ্টেম্বর মাসে লং এন প্রদেশের মাই কাইন সাফারি পার্ক এবং হো চি মিন সিটির কাছাকাছি এলাকা দং নায়ের ভিয়ন জিয়া চিড়িয়াখানায় এই মৃত্যুর ঘটনাগুলো ঘটে বলে ভিয়েতনাম নিউজ এজেন্সির (ভিএনএ) সূত্রে নিশ্চিত করেছে এএফপি।
ভিএনএ জানায়, ন্যাশনাল সেন্টার ফর অ্যানিমেল হেলথ ডায়াগনসিসে নমুনা পরীক্ষায় নিশ্চিত হওয়া যায় প্রাণীগুলির মৃত্যু হয় এইচ৫এন১ ভাইরাসে।
এএফপির পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হলে চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে মন্তব্য করতে রাজি হয়নি।
ভিএনএর প্রতিবেদনে যোগ করা হয়েছে, প্রাণীগুলোর কাছাকাছি আসা চিড়িয়াখানার কোনো কর্মীর মধ্যে এ রোগের লক্ষণ দেখা যায়নি।
বন্য প্রাণী সংরক্ষণে কাজ করা বেসরকারি সংস্থা এডুকেশন ফর নেচার ভিয়েতনাম (ইএনভি) জানিয়েছে, ২০২৩ সালের শেষ পর্যন্ত ভিয়েতনামে মোট ৩৮৫টি বন্দী বাঘ ছিল। এদের মধ্যে ৩১০টি ব্যক্তিগত মালিকানাধীন খামার ও চিড়িয়াখানায় এবং বাকিগুলো সরকারি মালিকানাধীন বিভিন্ন চিড়িয়াখানা এবং সংরক্ষণাগারে ছিল।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) বলছে যে ২০২২ সাল থেকে, এইচ৫এন১সহ ইনফ্লুয়েঞ্জার ভাইরাসের মারাত্মক প্রাদুর্ভাব দেখা যাচ্ছে স্তন্যপায়ী প্রাণীদের মধ্যে। এটি ক্রমেই বাড়ছে।
ডব্লিউএইচও আরও জানায়, এইচ৫এন১ সংক্রমণ মানুষের মধ্যে হালকা থেকে গুরুতর হতে পারে এবং কিছু ক্ষেত্রে এমনকি মৃত্যুও ডেকে আনতে পারে। ভিয়েতনাম মার্চ মাসে এই ভাইরাসের আক্রমণে একজন মানুষের মৃত্যু সম্পর্কে ডব্লিউএইচওকে জানিয়েছিল।
উল্লেখ্য, ২০০৪ সালে বার্ড ফ্লুতে থাইল্যান্ডে বিশ্বের বৃহত্তম বাঘ প্রজনন খামারে কয়েক ডজন বাঘের মৃত্যু হয়।
Leave a Reply