বন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৬৭

প্রকাশিতঃ সেপ্টেম্বর ২, ২০২৪, ১০:০৯

ভয়েস ডেস্ক : ভারত থেকে নেমে আসা পানি ও অতিবৃষ্টিতে দেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে ভয়াবহ বন্যায় এখন পর্যন্ত ৬৭ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়। সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) বিকেল তিনটার দিকে মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।

মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বন্যাকবলিত ফেনী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, খাগড়াছড়ি, নোয়াখালী, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, সিলেট, লক্ষীপুর ও কক্সবাজারের ৬৮টি উপজেলা বন্যা প্লাবিত এবং ক্ষতিগ্রস্ত ইউনিয়ন বা পৌরসভা ৫০৪টি। এর মধ্যে চট্টগ্রাম, হবিগঞ্জ, সিলেট, খাগড়াছড়ি ও কক্সবাজার জেলার বন্যা পরিস্থিতি সম্পূর্ণ স্বাভাবিক। মৌলভীবাজার ও ব্রাহ্মণবাড়ীয়া জেলার বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে এবং কুমিল্লা, ফেনী, নোয়াখালী ও লক্ষীপুর জেলার বন্যা পরিস্থিতি উন্নতি হচ্ছে।

এতে আরও বলা হয়, বন্যায় এখন পর্যন্ত ৬৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে ফেনীতে ২৬, কুমিল্লায় ১৭, নোয়াখালী ১১, কক্সবাজার ৩, খাগড়াছড়ি ১, চট্টগ্রামে ৬, ব্রাহ্মণবাড়ীয়ায় ১, লক্ষ্মীপুরে ১ ও মৌলভীবাজারে ১ জনের মৃত্যু হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, পানিবন্দি বা ক্ষতিগ্রস্ত লোকদের আশ্রয়ের জন্য মোট ৩ হাজার ৯২৮টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে এবং আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে মোট ৩ লাখ ৯৩ হাজার ৩০৫ জন লোককে আশ্রয় দেয়া হয়েছে। এছাড়া ৩ হাজার ১৩৯টি গবাদি পশুকে রাখা হয়েছে। বর্তমানে মোট ৬ লাখ ৯৬ হাজার ৯৯৫টি পরিবার পানিবন্দি রয়েছে। ১১ জেলার ক্ষতিগ্রস্তদের চিকিৎসাসেবা দেওয়ার জন্য মোট ৫১৯টি মেডিকেল টিম চালু রয়েছে।

বন্যা দুর্গত জেলাগুলোর দূরবর্তী স্থানগুলোতে সংশ্লিষ্ট সকলের সঙ্গে সমন্বয়ের মাধ্যেম ত্রাণ পৌঁছানোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে জানিয়ে এতে বলা হয়, বন্যা আক্রান্ত জেলাগুলোতে স্বাস্থ্য সেবা দেওয়ার জন্য ফিল্ড হাসপাতাল প্রস্তুত করা হয়েছে এবং সেনাবাহিনী ও জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের চিকিৎসকরা সেবা দিচ্ছেন। পাশাপাশি স্থানীয় ক্লিনিক, হাসপাতাল ও স্বাস্থ্য সেবা প্রতিষ্ঠানগুলোকে বন্যার্তদের প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করার জন্য সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসকরা নির্দেশনা দিচ্ছেন।

Leave a Reply