গত সাড়ে ১৭ বছর গোটা জাতি বন্দী ছিল : জামায়াতের আমীর

প্রকাশিতঃ সেপ্টেম্বর ১৬, ২০২৪, ২১:৫১

ভয়েজ ডেস্ক : বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী আমীর ডা.শফিকুর রহমান বলেছেন, বিগত সরকারের শাসনামলে ১৭ বছর ৬ মাস গোটা জাতি বন্দি ছিল। মুখে ছিলো তালা, হাতে ছিলো হ্যান্ডকাপ, পায়ে ছিলো বেড়ি। এ দেশের ১৫ কোটি মানুষ ছিলো মজলুম।
সাড়ে ১৫ বছর এরা জাতির উপর স্টিম রোলার চালিয়েছে। সবচেয়ে বেশি আঘাত দিয়েছে জামায়াতে ইসলাম ও ইসলামি ছাত্র শিবিরের উপর। আমাদের মতো মজলুম সংগঠন আর নেই। আর কোন সংগঠনের এতো নেতা-কর্মীকে হত্যা করা হয়নি।
আজ সোমবার বিকেলে টাঙ্গাইল শহীদ স্মৃতি পৌর উদ্যানে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহীদদের মাগফেরাত ও আহত ও শহীদ পরিবারের সাথে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ্য করে ডা. শফিকুর রহমান বলেন, এমন রাজনীতি করলেন আপনাকে দেশ ছেড়ে চলে যেতে হলো। সাড়ে ৮শ’ বছর আগে লক্ষণ সেন পালিয়ে গিয়েছিল, তার পরে আপনি পালিয়ে গেলেন।
তিনি বলেন,‘নির্যাতন করা হয়েছে বিএনপির নেতাকর্মীদের উপর, নির্যাতন করা হয়েছে হেফাজতে ইসলামের উপর, নির্যাতন করা হয়েছে গণঅধিকার পরিষদের উপর, নির্যাতন করা হয়েছে সাধারণ মানুষের উপর। হত্যা করা হয়েছে সাংবাদিক বন্ধুদের। কালো আইনে টেনে হিঁচড়ে নেয়া হয়েছে তাদের জেলে। তারা কাউকে বাদ দেয়নি।
তিনি বলেন, দেশকে স্বৈরাচার মুক্ত করতে আমাদের হাজার খানেকের মতো ‘কলিজার টুকরা’ জীবন দিয়েছেন। এখানে কোন দলমত নেই। এখানে কোন ধর্ম নাই। সকল ধর্মের মানুষ অংশগ্রহণ করেছেন, সকল ধর্মের মানুষই মারা গিয়েছেন। নিহত হয়েছে, আহত হয়েছে। শহিদদের আমরা কোন দলের সম্পত্তি বানাতে চাই না। এই শহিদরা জাতির সম্পদ, এই শহিদরা আমাদের শ্রদ্ধার পাত্র। এই শহিদরা আজীবন জাতীয় বীর। আমরা তাদের সেই মর্যাদায় দেখতে চাই। যারা শহিদ হয়েছেন, তাদের নিয়ে কোন দল যেন ক্রেডিট নেয়ার চেষ্টা না করি। এটা আমাদের সকলের ত্যাগের ফসল। সকলের প্রতি সম্মান দেখানো হবে।
টাঙ্গাইল জেলা জামায়াতে ইসলামের আমীর আহসান হাবিবের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন, কেন্দ্রীয় কমিটির নির্বাহী সদস্য অধ্যক্ষ ইজ্জত উল্লাহ ও ড. মাওলানা খলিলুর রহমান মাদানী। বক্তব্য রাখেন ধনবাড়ীতে নিহত একরামুল হক সাজিদের পিতা জিয়াউল হক, সৈয়দা আক্তার, জেলা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকারী মনিরুল ইসলাম, জেলা শিবিরের সভাপতি আনোয়ার হোসেন মতিউল্লাহ ও শহর শিবিরের সভাপতি মামুন আব্দুল্লাহ প্রমুখ।

Leave a Reply