ভয়েজ ডেস্ক : সাতক্ষীরার চাঞ্চল্যকর বুদ্ধি প্রতিবন্ধী রোজিনা খাতুন ওরফে চুমকি’কে হাতুড়ি দিয়ে নৃশংসভাবে ভাবে পিটিয়ে হত্যা মামলার এজাহার নামীয় প্রধান আসামিসহ ছয় জনকে গেস্খপ্তার করেছে র্যাব। ঘটনার ২৪ ঘন্টার মধ্যে রোববার (১৫ সেপ্টেম্বর) ভোররাত একটার দিকে র্যাব-৬ সাতক্ষীরা ক্যাম্পের সদস্যরা সদর উপজেলার থানাঘাটা গ্রাম থেকে তাদেরকে গ্রেপ্তার করে।
গ্রেপ্তারকৃত আসামীরা হলো, প্রতিবন্ধী রোজিনা খাতুন হত্যা মামলার প্রধান অসামী সাতক্ষীরা সদর উপজেলার থানাঘাটা হিন্দুপাড়া গ্রামের মোঃ একরামুল হকের ছেলে মোঃ ইলিয়াস হক (৩৫), ইলিয়াসের ছোট ভাই মোঃ ইমরান হক (২৩), মোঃ আবু ছালেমের স্ত্রী মোছাঃ নারগিস পারভিন (৪০), মোঃ একরামুল হক এর স্ত্রী মোছাঃ মনোয়ারা খাতুন (৫৫), মোঃ আবু ছালেমের ছেলে শাওন (২৮) ও মৃত খন্দকার আবুল কাশেমের ছেলে মোঃ আবু ছালেম (৬০)।
র্যাব সূত্র জানায়, সাতক্ষীরা সদর উপজেলার থানাঘাটা হিন্দুপাড়া গ্রামের মোঃ একরামুল হকের ছেলে মোঃ ইলিয়াস হক ভিকটিম বুদ্ধি প্রতিবন্ধী রোজিনা খাতুন ওরফে চুমকির সরলতার সুযোগ নিয়ে তাকে যৌন উক্তাত্ত করাসহ মাঝে মধ্যে কুপ্রস্তাব দিত। ভিকটিম আসামীর যন্ত্রনা সহ্য করতে না পেরে তার পিতা মাতা ও বড় বোনকে বিষয়টি জানায়। ভিকটিম এর বড় বোন, মা ও বাবাকে সাথে নিয়ে ১নং আসামীর বাবা মা ও পরিবার’কে ঘটনার কথা জানালেও আসামীকে নিষেধ না করে উল্টো ভিকটিম এর মা বাবা ও বড় বোনকে অপমানিত করে তাদেরকে তাড়িয়ে দেয়। আসামী মোঃ ইলিয়াছ ভিকটিম এর উপর ক্ষিপ্ত হয়ে প্রতিশোধ নিতে সুযোগ খুঁজতে থাকে। ঘটনার দিন শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে৮টার দিকে ভিকটিম থানাঘাটাস্থ মাধব স্বর্নকারের বাড়ির সম্মুখে পাকা রাস্তার উপর পৌছাইলে পূর্ব থেকে ওৎ পেতে থাকা আসামীরা হত্যার উদ্দেশ্যে চুমকিকে আক্রমন করে। এসময় আসামী ইলিয়াস তার হাতে থাকা লোহার হাতুড়ি দিয়ে পিছন দিক থেকে ভিকটিমের মাথায় স্বজোরে কয়েকটি আঘাত করে। এতে ঘটনা স্থলেই মারা যায় চুমকি। স্থানীয় লোকজন ভিকটিমকে উদ্ধার করে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় ভিকটিমের বড় বোন সকিনা খাতুন (৩০) বাদী হয়ে আসামীদের বিরুদ্ধে সাতক্ষীরা সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। ঘটনাটি জনমনে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে। ঘটনার পর থেকেই র্যাব-৬, সাতক্ষীরা ক্যাম্পের একটি আভিযানিক দল আসামীদের গ্রেফতারের লক্ষ্যে গোয়েন্দা তৎপরতা শুরু করে অভিযান অব্যাহত রাখে এবং রোববার ভোররাত এক টার দিতে তাদেরকে গ্রেপ্তার করে। সকালে আসামীকে সাতক্ষীরা সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়।
সাতক্ষীরা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ রফিকুল ইসলাম ঘঁনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, দুপুরে আদালতের মাধ্যমে আসামীদেরকে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।
Leave a Reply