মোল্লাহাটে বিএনপি নেতার সম্মান ক্ষুন্ন করার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

ভয়েজ ডেস্ক : বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি’র মোল্লাহাট উপজেলার আহবায়ক শেখ হাফিজুর রহমানের সম্মান ক্ষুন্ন করারকরার প্রতিবাদে খুলনা প্রেসক্লাবে শনিবার সংবাদ সম্মেলন করেন ।সংবাদ সম্মেলনে সে তার দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনের উল্লেখযোগ্য বিষয় গূলি তুলে ধরে। ১৯৮৫ সাল থেকে ৯৪ সাল পর্যন্ত মোল্লাহাট উপজেলা জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সভাপতি পদে ছিলেন ।পরে মোল্লাহাট উপজেলা জাতীয়তাবাদী যুবদলের সভাপতি পদে ১৯৮৪ সাল থেকে ২০০৩ সাল পর্যন্ত যুবদলের সভাপতি পদে দায়িত্ব পালন করে আসছে।এর পর
তার দীর্ঘ রাজনৈতিক জাতীয়তাবাদ এর ২০০৩ সাল থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত মোল্লাহাট উপজেলা জাতীয়তাবাদী দল (বি. এন. পি) এর সাধারন সম্পাদক পদে দায়িত্ব পালন করেছে। এরপরে ২০০৯ সাল থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত মোল্লাহাট উপজেলায় (বি. এন পি) এর( আহবায়ক ও সভাপতি পদে দায়িত্ব পালন করেছে। ২০২৩ সাল থেকে এখন পর্যন্ত মোল্লাহাট উপজেলা জাতীয়তাবাদী দল (বি. এন. শি) এয় আহবায়ক এবং বাগেরহাট জেলা জাতীয়তাবাদী দল (বি. এন. পি এর আহবায়ক কমিটির সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছে । সম্প্রতি ছাত্র জনতার আন্দোলনে শৈর শাষকের পতনের পর দেশে যখন স্বস্থি ফিরতে শুরু করেছে ঠিক তখনি একটি মহল পরিকল্পিত ভাবে দেশের এই বিশাল অর্জন নস্যাৎ করতে বদ্ধ পরিকর। ঐ কুচক্র মহল তাদের রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হাসিলের জন্য পরিকল্পিত ভাবে আমার সাংগঠনিক দক্ষতা ও রাজনৈতিক সুনাম ও এবং জনপ্রিয়তা বিনষ্ট করতে ৫ ই আগস্টের সরকার পতনের পর ১২শত বিঘার মৎস্য খামার এলাকায় দুগ্ধ খামারের গাভি, গরু ও দেশি মুরগি খামারের মুরগি ও মৎস্য লুটের গল্প কাহিনী সাজিয়ে আমার রাজনৈতিক জীবনে কালিমা লেপনের পায়তার। করছে।
আমার জানা মতে মোল্লাহাট উপজেলাধীন কেন্দুয়ার বিলে ১২শত বিঘার ঘের আছে বলে তার জানা নাই। সে সকলের সামনে ওপেন চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেয়।, তার দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে কোন দখল বাজি, চাঁদাবাজী, প্রতিপক্ষের সম্পদ লুট বা কোথাও কোন সন্ত্রাসী কার্যক্রমের সাথে যুক্ত ছিল এমন কোন প্রমান কেও দিতে পারলে সে রাজনীতি থেকে সেচ্ছায় অব্যহতি দিবে বলে সকল সামনে প্রতিশ্রুতি দেয়।
জাতীয়তাবাদী দল (বি. এন. পি) দেশের অন্যতম প্রধান রাজনৈতিক দল। বর্তমান পরিস্থিতিতে আমাদের দলের ভাইস চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান) জনাব তারেক রহমান যোষনা দিয়েছেন, কোন দখলবাজ লুটতরাজকারী, ঘের দখলকারী, সংখ্যা লঘু নির্যাতনকারী বি. এন. পি. তে যায়গা হবে না। এই ধরনের কোন কর্মকান্ডের সাথে কেউ যুক্ত থাকলে তাকে দল থেকে সরাসরি বহিষ্কার করবে। সে দলের তৃনমূল থেকে কেন্দ্র পর্যন্তে যে কোন পর্যায়ের নেতা হোক না কেন এ ধরনের কর্মকান্ডে জড়ালে তাকে ক্ষমা করা হবে না। দলের চেয়ারম্যানের নির্দেশ আমি আমায় এলাকায় শক্তভাবে বাস্তবায়ন করে চলেছি। এই বিষয়টি দীর্ঘ দিনের আওয়ামী লীগের আদর্শ ও স্বপ্ন লালনকারী একটি চক্র পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে ঘোলা পানিতে মাছ শিকারে পায়তারা করছে। পালিয়ে যাওয়া সাবেক প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনার জেলা গোপালগঞ্জ সংলগ্ন হওয়ায় এখানে দীর্ঘ বছর ধরে ঐ অত্যাচারি পরিবারটি আমাদের এলাকাটি জিম্মি করে রেখেছিল। জিম্মিদশার নানা চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে চড়াই উৎরাইয়ের মধ্য দিয়ে দলের নেতাকর্মীদের ধরে রেখেছে ।এ কারণে একাধিক বার মিথ্যা মামলা হামলার শিকার হয়েছিল জেল খেটেছিল এত কিছুর পরেও সে কখনো রাজনৈতিক মাঠ ছাড়েনি। তার এলাকার বাইরের জনৈক মৎস্য খামারি আজিজুর রহমান। দীর্ঘদিন ধরে জাতীয়তা বাদে বিশ্বাসী নেতা কর্মীদের অত্যাচারকারী আওয়ামী লীগের দুইজন জনপ্রতিনিধি প্রভাবশালী নেতা তার ব্যবসায়িক পার্টনার থাকায় ,অংশীদারি ক্ষমতার দাপটে হাফিজের এলাকার কেন্দুয়া বিলে সাধারণ জমির মালিকদের জমার টাকা না দিয়ে জোরপূর্বক জবরদখল করে গরিবের রক্ত চুষে মৎস্য খামার সহ নানা ব্যবসা করে আসছে। নতুন করে দেশে স্বাধীনতা অর্জন করায় জমির মালিকেরা তাদের জমি ফিরে পেতে প্রশাসন সহ নানা জায়গায় ধর্না দেওয়া শুরু করলে দীর্ঘদিনের অত্যাচারীরা আত্মগোপনে গিয়ে নিজেদের অপকর্ম ঢাকতে হাফিজের বিরুদ্ধে নানা অপবাদ রটাচ্ছে। আওয়ামী লীগ নেতাগণ ও তাদের দীর্ঘদিনের ব্যবসায়িক মিত্র চক্রটি মিলে এখনো মনে করে মোল্লাহাট উপজেলাটি গোপালগঞ্জের অংশ মনে করছে। বিএনপি নেতা হাফিজ সেই সকল আওয়ামী লীগের নেতা কর্মী ও চক্রটি কে সতর্ক বার্তা দিয়ে বলেন যতই ষড়যন্ত্র করুক না কেন শহীদ জিয়াউর রহমানের আদর্শ থেকে তাকে সরানো যাবে না। আর যারা কৌশলে তাকে ঘের দখলকারী সাজানোর যে অপচেষ্টা করছে তাও সফল হবে না। কারণ হাফিজ একজন সফল এবং প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী ,কোন ধরনের দখলবাজি চাঁদাবাজি সন্ত্রাসী কর্মকান্ড সে কখনো নিজে পছন্দ করে না এবং কেউ করার সাথে জড়িত থাকলে প্রতিহত করে এবং প্রতিরোধ গড়ে তুলে নস্যাৎ করার চেষ্টা করে। বিএনপি নেতা হাফিজের বিশ্বাস জাতির বিবেক সাংবাদিকদের লেখনীর মাধ্যমে এই ষড়যন্ত্রকারীদের অপ তৎপরতাবন্ধের অবসান হবে এবং মোল্লাহাট উপজেলায় শান্তি শৃঙ্খলা ফিরে আসবে। এবং শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখতে সকলকেই আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল এবং সকল জনসাধারণের সহযোগিতা কামনা করছে ।