ডেস্ক নিউজ : রমজান মাসে চিনির চাহিদা বেড়ে যায়। এ অবস্থায় বাজার নিয়ন্ত্রণের উদ্যোগ হিসেবে অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে ১০ হাজার মেট্রিক টন চিনি কেনার উদ্যোগ নিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। স্থানীয় উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে এই চিনি সংগ্রহ করা হবে।
বুধবার (২০ নভেম্বর) বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরে বার্ষিক ক্রয় পরিকল্পনায় এক লাখ ৪৪ হাজার মেট্রিক টন চিনি ক্রয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে। ইতিমধ্যে ৫ হাজার মেট্রিক টন চিনি সংগ্রহ করেছে। স্থানীয়ভাবে আরও ১০ হাজার টন চিনি সংগ্রহের উদ্যোগ নিয়েছে। মোট চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে সমগ্র বাংলাদেশে (সিটি করপোরেশন ও পৌরসভাসহ) টিসিবি’র ফ্যামিল কার্ডধারী প্রায় ১ কোটি নিম্ন আয়ের পরিবারের মধ্যে প্রতি মাসে ভর্তূকি মূল্যে এ চিনি সরবরাহ করা হবে।
স্থানীয়ভাবে ১০ হাজার মেট্রিক টন চিনি ক্রয়ের জন্য উন্মুক্ত দরপত্র আহ্বান করা হয়। দরপত্র প্রণয়ন ও দাখিলের জন্য ন্যূনতম ২৮ দিন সময় ধার্য থাকলেও অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির ৪ জুন তারিখের সভায় টিসিবি’র জন্য স্থানীয় দরপত্র আহ্বানের ক্ষেত্রে দরপত্র প্রণয়ন ও দাখিলের সময়সীমা ২৮ দিনের পরিবর্তে ১৪ দিন অনুমোদন করা হয়। সেই পরিপ্রেক্ষিতে দরপত্র দাখিলের সর্বশেষ তারিখ ২০২৪ সালের ৩১ অক্টোবর। কিন্তু এই দরপত্রের বৈধতার মেয়াদ ৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, দরপত্র উন্মুক্ত করা হলে ২টি দরপত্র পাওয়া যায়। এরমধ্যে মেঘনা সুগার রিফাইনারি লিমিটেড প্রতি কেজি চিনির দাম উল্লেখ করে ১১৬.৮৫ টাকা এবং সিটি সুগার ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড প্রতি কেজি চিনির দাম উল্লেখ করে ১১৯.৯৫ টাকা। অন্যদিকে প্রতি কেজি চিনির দাপ্তরিক প্রাক্কলিত দাম ১২৩.৩০ টাকা।
দরপত্র মূল্যায়ন কমিটির পর্যালোচনায় ২টি দরপত্রই রেসপন্সিভ হয়। তবে সর্বনিম্ন দরদাতা হিসেবে কমিটি মেঘনা সুগার রিফাইনারির নাম সুপারিশ করে। প্রতিষ্ঠানটি ৫০ কেজি’র বস্তায় অগ্রিম আয়কর, প্রযোজ্য মূসক এবং টিসিবি’র গুদামগুলোতে পরিবহন খরচসহ প্রতি কেজি ১১৬.৮৫ টাকা দরে ১০ হাজার মেট্রিক টন চিনি সরবরাহ করবে। এতে মোট ব্যয় হবে ১১৬ কোটি ৮৫ লাখ টাকা।
সূত্র জানায়, এই চিনি ২০০৫ সালের পবিত্র রমজান মাসে বিক্রির লক্ষ্যে ফেব্রুয়ারি মাসে গ্রহণ করা হবে। রমজানে চিনির পর্যাপ্ত মজুদ নিশ্চিত করতে এ সংক্রান্ত একটি ক্রয় প্রস্তাব সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা কমিটির পরবর্তী সভায় উপস্থাপন করা হবে।
Leave a Reply