ক্রীড়া ডেস্ক : নিজের ষষ্ঠ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে অংশ নিতে জাহানারা আলম বিমানবন্দরে চেক-ইন করতেই মনে পড়ে যায়, ছয় মাস আগেও এই দলের সঙ্গে ছিলেন না তিনি। ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে দুর্দান্ত পারফর্ম করে তার জাতীয় দলের দরজা পুনরায় খুলে যায়। এরপর ধীরে ধীরে জায়গা পাকাপাকি করে ফেলেন বিশ্বকাপ দলেও।
নারীদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে অংশ নিতে বাংলাদেশ দল আজ উড়াল দিয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাতে। বিশ্বকাপে বাংলাদেশ স্বাগতিকও হতে পারতো। কিন্তু রাজনৈতিক অস্থিরতা ও পরবর্তী পরিস্থিতি বিবেচনায় আইসিসি বিশ্বকাপ সরিয়ে নিয়েছে। তাই বাংলাদেশকে এখন বিশ্বকাপে অতিথি হয়ে অংশগ্রহণ করতে হচ্ছে।
সেই ২০১৪ সালে দেশের মাঠে নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে শ্রীলঙ্কা ও আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে জয় পেয়েছিল বাংলাদেশ। এরপর চারটি বিশ্বকাপ পেরিয়ে গেছে। ম্যাচ সংখ্যা একুশ ছুঁয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশের নামের পাশে জয় সেই দুটিই। কোনো ম্যাচ জয় তো দূর আকাশের তারা, বড়-ছোট কোনো দলের বিপক্ষে মাঠের লড়াইয়েই টিকতে পারেনি বাংলাদেশ।
১০ বছরের সেই ক্ষুধা এবার মেটানোর আশায় টিম বাংলাদেশ। শুধু জয়-ই নয় বাংলাদেশ এবার সেমিফাইনাল খেলার স্বপ্নও দেখছে। বিমানবন্দরে পুরো দলকেই বেশ চাঙ্গা মনে হয়েছে। বড় কিছুর আশার চোখেমুখে ফুটে উঠেছে আলোর পরশ। গণমাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে কেউ কথা বলেননি। তবে দুদিন আগে সংবাদ সম্মেলনে অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতি বড় কিছুর আশাই দেখিয়েছেন।
জ্যোতি বলেন, ‘যে পরিসংখ্যানের কথা বললেন, আমার মাথায় এটা সবসময় থাকে যে, আমি নিজেও চারটি বিশ্বকাপ খেলেছি, এখনও পর্যন্ত একটা ম্যাচ জিততে পারিনি। অবশ্যই এবার বিশ্বকাপে আমার ব্যক্তিগতভাবে যেমন লক্ষ্য, তেমনি গোটা দলেরই লক্ষ্য যেন আমরা একটা ম্যাচ জিতে শুরু করতে পারি। বিশ্বকাপের মতো জায়গায় সব দলই ভালো ক্রিকেট খেলার প্রত্যাশা নিয়েই আসে। আমাদের লক্ষ্য থাকবে, লম্বা সময় ধরে আমাদের সবার যে ক্ষুধা, বিশ্বকাপে একটি জয়, সেটা যেন পেতে পারি।’
জয়খরা কাটাতে বাংলাদেশ প্রথম ম্যাচেই বড় সুযোগ পাচ্ছে। বিশ্বকাপের উদ্বোধনী ম্যাচে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ স্কটল্যান্ড। বাংলাদেশ প্রথম ম্যাচ থেকেই জয়ের ছন্দ পেতে চায়, ‘প্রথম ম্যাচ স্পেশাল… তো প্রথম ম্যাচ জিততে চাই। আমার জন্য এটা সব থেকে স্পেশাল। আমার জন্য এবং আমার দলের জন্য এটা অনেক বড় একটা অর্জন হবে। অবশ্যই… একজন প্লেয়ার হিসেবে ১০০তম ম্যাচ, আমি এখনও জানি না খেলতে পারব কিনা। যদি আল্লাহপাক সুস্থ রাখেন তাহলে তো অবশ্যই খেলব। যদি খেলি, প্রথম লক্ষ্য এটাই থাকবে যেন জিততে পারি।’
‘বি’ গ্রুপে বাংলাদেশের অন্যান্য প্রতিপক্ষ ইংল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা, ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ৩ অক্টোবর মাঠে গড়াবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের নবম আসর। শেষ হবে ২০ অক্টোবর। গ্রুপপর্বের ম্যাচগুলো অনুষ্ঠিত হবে ৩-১৫ অক্টোবর পর্যন্ত। এরপর ১৭ ও ১৮ অক্টোবর হবে দুটি সেমিফাইনাল। আর ২০ অক্টোবর হবে ফাইনাল।
Leave a Reply