ভয়েজ ডেস্ক : রূপসার নৈহাটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী চৈতীকে আত্মহত্যায় বাধ্য করা হয়েছে দাবি করে আত্মহত্যায় প্ররোচনাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন করেছে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা।
মঙ্গবার (১০সেপ্টেম্বর) বেলা সাড়ে ১০টায় উক্ত বিদ্যালয়ের সামনে রূপসা-বাগেরহাট পুরাতন সড়কে এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়। শিক্ষার্থীর মৃত্যুর জন্য দায়ী শিক্ষক মাহাবুবুর রহমান,তার স্ত্রী সোনিয়া সুলতানা ও শিক্ষিকা কাকলি গাইন সহ দোষীদের ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করেন বিদ্যালয়ের ছাত্র ছাত্রী ও এলাকাবাসী।
এসময় উপস্থিত ছিলেন নিহত ফাইরুজ মাহমুদ চৈতীর পিতা ফিরোজ পাশা,মাতা নুর নাহার শেখ, ইউপি সদস্য রেশমা আক্তার,এলাকাবাসী আশরাফ আলী রাজ,হুমায়ূন কবীর রাজা,নিজাম উদ্দীন,মনিরা বেগম, শিক্ষার্থীদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন রাসেল হাওলাদার,মোঃ ইউসুফ,ইব্রাহিম খলিল, মোঃ সিয়াম,লাবন্য আক্তার জ্যেতি,সুমাইয়া আক্তার ফাতেমা,সাদিয়া আক্তার প্রমূখ।
উল্লেখ্য– রূপসা উপজেলার নৈহাটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেনীর মেধাবী ছাত্রী ফাইরুজ মাহমুদ নীদ চৈতির সাথে একই বিদ্যাল য়ের শিক্ষক মাহাবুবুর রহমান এর সাথে প্রেমের সম্পর্ক হয়। তারই সূত্র ধরে শারীরিক সম্পর্কের একপর্যায়ে চৈতি গভর্বতী হয়।
পরে বিবাহের জন্য চাপ দিলে শিক্ষক মাহাবুব বিয়ে করতে অস্বীকার করে। তাদের মধ্যে বিরোধ শুরু হয়। একাজে সহযোগিতা করে শিক্ষিকা কাকলী।
গত ২৪জুলাই চৈতী গলায় ফাস দিয়ে আত্নহত্যা করে। পরবর্তীতে তার মৃত্যুর ঘটনা খুজতে গিয়ে পাওয়া যায় ডায়রীতে লেখা শিক্ষকের সাথে সম্পর্ক এবং কেনো সে মারা গেল। এঘটনার পর অভিযুক্তরা পলাতক রয়েছে। ছাত্রীর মাতা নুরনাহার বেগম বাদী হয়ে আদালতে শিক্ষকদের নামে মামলা দায়ের করেন। এছাড়া ও তিনি ঐ শিক্ষক ও বিদ্যাল য়ের প্রধান শিক্ষক রবিউল ইসলাম পলাশের বিরুদ্ধে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও শিক্ষা কর্মকর্তা বরাবর অভিযোগ করেন।
বক্তারা চৈতির হত্যাকাণ্ড উল্লেখ করে জড়িতদের কঠোর শাস্তি ও বিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে কোন সহযোগিতা করা হচ্ছে না বলে অভিযোগ করেন।
Leave a Reply