ডেস্ক নিউজ : অনিন্দ্য সুন্দর হ্রদ-পাহাড়ের শহর পার্বত্য জেলা রাঙামাটিতে নানা প্রতিকূলতার অবসানের পর পর্যটকদের আগমন শুরু হয়েছে। গত কয়েকদিন রাঙামাটিতে তিন হাজারের বেশি পর্যটকের সমাগম ঘটেছে।
পর্যটক আসায় কিছুটা স্বস্তির নিশ্বাস ফেলছেন পর্যটন শিল্পের সঙ্গে জড়িত ব্যবসায়ীরা। তারা বলছেন, পর্যটকদের ওপর নির্ভর করে আমাদের ব্যবসা গড়ে উঠেছে। তারা এলে আমাদের জীবিকার চাকা ঘোরে।
এদিকে জেলার ঝুলন্ত সেতু, সুবলং ঝরনা, পলওয়েল পার্কসহ জেলার পর্যটন স্পটগুলোতে পর্যটকদের আনাগোনা বেড়েছে।
ঝুলন্ত সেতু দেখতে আসা রাজধানী ঢাকার বাসিন্দা পর্যটক আকবর আলী এবং তার স্ত্রী জেসমিন আকবর বলেন, ছেলে-মেয়েদের পরীক্ষা শেষ হওয়ায় রাঙামাটিতে বেড়াতে এসেছি। এসেই হোটেল রুমে বসে না থেকে ঘুরতে বেরিয়ে পড়েছি। রাঙামাটিতে অনেক ভালো লাগছে। আগামী দু’দিন রাঙামাটি ঘুরে সাজেক চলে যাবো।
রাঙামাটি পর্যটন করপোরেশনের ব্যবস্থাপক আলোক বিকাশ চাকমা বলেন, গত কয়েকদিনে রাঙামাটিতে বেশ পর্যটক এসেছে। শীতের তীব্রতা বাড়ছে। আশা করছি, এই শীতের মৌসুমে ভালো পর্যটক আসবে এবং সরকারের রাজস্ব আয়টাও বাড়বে।
এদিকে জেলার আরেক পর্যটক নগরী মেঘের রাজ্য খ্যাত বাঘাইছড়ি উপজেলার সাজেক পর্যটন কেন্দ্রে পর্যটকের সংখ্যা বেড়েছে। সেখানেও গত কয়েকদিনে তিন হাজারের মতো পর্যটকের আগমন ঘটেছে বলে পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা জানিয়েছে।
সাজেক কটেজ মালিক সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক রাহুল চাকমা জন বলেন, সাজেকে গত কয়েকদিনে বেশ পর্যটক আসতে শুরু করেছে। হোটেল-মোটেলগুলো ভালো বুকিং হয়েছে। মূলত ছেলে-মেয়েদের বার্ষিক পরীক্ষা শেষ হওয়ায় পর্যটকের সংখ্যাটা বাড়তে শুরু করেছে।
উল্লেখ্য, গত ১৮ আগস্ট খাগড়াছড়িতে মামুন নামে এক যুবককে হত্যাকাণ্ডের মধ্য দিয়ে পাহাড়ে পাহাড়ি-বাঙালি সংঘাতের সৃষ্টি হয়েছিল। এরপর প্রশাসন নিরাপত্তার স্বার্থে তিন পার্বত্য জেলায় পর্যটক ভ্রমণে নিরুৎসাহিত করেছিল।
এছাড়াও পাহাড়ের অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীদের নিজেদের আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ পুরো পাহাড়ে অস্থিরতা সৃষ্টি হলে বেশ কয়েক মাস ধরে পার্বত্য জেলাগুলো পর্যটক শূন্য হয়ে পড়ে। শুধু রাঙামাটি জেলার পর্যটন ব্যবসায়ীরা এ কঠিন সময়ে শত কোটি টাকার লোকসান গুনেছেন।
Leave a Reply