গুলিতে আহত ২
মিরপুরে গার্মেন্টস শ্রমিকদের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সংঘর্ষ

প্রকাশিতঃ অক্টোবর ৩১, ২০২৪, ১৭:১০

ডেস্ক নিউজ : রাজধানীর মিরপুর-১৪ নম্বরের কচুক্ষেত এলাকায় গার্মেন্টসকর্মীদের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সংঘর্ষে নারীসহ দুই শ্রমিক গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (ঢামেক) নেওয়া হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) সকাল ৯টার দিকে এই ঘটনা ঘটে।

আহতরা হলেন—সেনটেক্স ফ্যাশন লিমিটেডের সুইং অপারেটর আল-আমিন হোসেন (১৭) ও ঝুমা আক্তার (১৫)।

আল-আমনি ও ঝুমা আক্তারের সহকর্মী কবির হোসেন জানান, কচুক্ষেত এলাকায় মৌসুমি নামের একটি গার্মেন্টস কর্তৃপক্ষ গতকাল বুধবার রাতে হঠাৎ করে কারখানা বন্ধ করে দেয়। সে কারণে আজ বৃহস্পতিবার সকালে কর্মচারীরা কারখানার সামনে অবস্থান নেন। একপর্যায়ে আশপাশের সব কারখানাও ছুটি দেওয়া হয়। তখন সবাই এক সঙ্গে রাস্তায় অবস্থান নিলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ঘটে। এতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী গুলি ছুড়লে বেশ কয়েকজন গুলিবিদ্ধ হন।

কবির হোসেন জানান, আল-আমিনের বাড়ি খুলনায়। বর্তমানে মিরপুর-১৪ নম্বরের বিআরপি এলাকায় থাকেন। সকালে কারখানা ছুটি ঘোষণা করলে সে বাসায় যাচ্ছিল। তখন সে পিঠে গুলিবিদ্ধ হয়। আহত ঝুমার বড় বোন মর্জিনা বেগম জানান, সেনটেক্স ফ্যাশনে অপারেটর হিসেবে কাজ করেন ঝুমা। তিনি ডান পায়ে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। তাঁকে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

ঢাকা মেডিকেল পুলিশ ক্যাম্প ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. ফারুক জানান, গুলিবিদ্ধ আহত দুজনকে জরুরি বিভাগে নিয়ে আনা হয়। এর মধ্যে ঝুমাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে পাঠিয়ে দিয়েছেন চিকিৎসকেরা। তবে আল-আমিনের পিঠে গুলিবিদ্ধ হয়েছে। তাঁর অস্ত্রোপচার চলছে।

এর আগে, রাজধানীর মিরপুর-১৪ নম্বরে ডায়না গার্মেন্টসের শ্রমিকেরা বিভিন্ন দাবিতে রাস্তায় নেমে আসেন। তারা মিরপুর ১৪ নম্বরের কচুক্ষেত সড়কে বিক্ষোভ করে রাস্তা অবরোধের চেষ্টা করেন। একপর্যায়ে তাঁরা পুলিশ ও সেনাবাহিনীর গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেন।

পুলিশ জানায়, পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা শ্রমিকদের শান্ত করতে এলে বিক্ষোভকারীরা তাঁদের ওপর ইট-পাটকেল ছুড়তে থাকেন। আত্মরক্ষায় পুলিশ লাঠিচার্জ করে। এ সময় পুলিশের গাড়িতে ভাঙচুর ও আগুন ধরিয়ে দেন শ্রমিকেরা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেনাবাহিনী কঠোর অবস্থানে যায়। পুরো এলাকা বন্ধ করে চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হয়।

ভাষানটেক থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ মোহাম্মদ ফয়সাল বলেন, ‘পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ সকাল থেকেই রাস্তায় ছিল। পোশাকশ্রমিকেরা হঠাৎ করে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যদের লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করতে শুরু করেন। একপর্যায়ে তাঁরা সেনাবাহিনী ও পুলিশের গাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেন। এখন পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। সেনাবাহিনী ও পুলিশ ঘটনাস্থলে কাজ করছে।’

Leave a Reply