বিনোদন ডেস্ক : ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চন ও অভিষেক বচ্চনের দাম্পত্য জীবন ঘিরে আলোচনা যেন থামছেই না। তাঁদের বিচ্ছেদ ঘিরে একের পর এক তথ্য সামনে আসছে। কখনো সংসারে বনিবনা না হওয়া কখনো বা আবার তৃতীয় ব্যক্তির প্রবেশের কথাও শোনা যাচ্ছে। সম্প্রতি ঐশ্বরিয়া-অভিষেকের পুরোনো এক অনুষ্ঠানের সাক্ষাৎকার সামনে এসেছে। যেখানে বিয়ে ও বিবাহ বিচ্ছেদ নিয়ে মন্তব্য করতে দেখা যায় এই অভিনেত্রীকে।
২০০৭ সালে বিয়ের পিঁড়িতে বসেন ঐশ্বরিয়া-অভিষেক। এর দু’বছর পর ২০০৯ সালে আমেরিকায় অপরা ওয়াইনফ্রের অনুষ্ঠানে উপস্থিত হন এই দম্পতি। এই অনুষ্ঠানে তাঁদের বিয়ের বেশ কিছু মুহূর্ত তুলে ধরা হয়। এমন জাঁকজমকপূর্ণ বিয়ের ঝলক দেখে অবাক হয়েছিলেন সঞ্চালিকা।
অভিষেক সঞ্চালিকাকে ভারতীয়দের বিয়ে নিয়ে একটি সংক্ষিপ্ত বিবরণ দিয়েছিলেন। ভারতীয়দের বিয়ের তোড়জোড় চলে দীর্ঘ দিন ধরে। টানা দশ দিন সকাল ও বিকেল নানা রকমের রীতি ঘিরে রাখে নবদম্পতিকে।
অভিষেকের বিবরণ শুনে পাল্টা প্রশ্ন করেছিলেন সঞ্চালিকা। তিনি বলেছিলেন, ‘এত জাঁকজমক করে বিয়ে করার পরে বিবাহবিচ্ছেদ হলে তা নিশ্চয়ই দম্পতিদের জন্য খুব কঠিন হয়ে ওঠে?’ এই প্রশ্নের উত্তর দিয়েছিলেন ঐশ্বরিয়া।
উত্তরে ঐশ্বরিয়া বলেছিলেন, ‘আমরা এই ধরনের ভাবনা মাথায় আসতেই দিই না।’ এই অভিনেত্রী এ-ও বলেন, বিয়ে মানেই পরস্পরের প্রতি সারা জীবনের প্রতিশ্রুতিবদ্ধতা। পরিবারের সঙ্গে থাকার মধ্যেই রয়েছে আনন্দ।
অনুষ্ঠানেই অভিনেত্রী এ-ও জানিয়েছিলেন, অমিতাভ বরাবর তাঁর বাবা-মায়ের সঙ্গেই থেকেছেন। তাই সেই ধারা তিনিও বহন করছেন। বর্তমানে এই দম্পতির সম্পর্কের টানা-পোড়েনে এ মন্তব্য প্রাসঙ্গিক।
অনন্ত অম্বানি ও রাধিকা মার্চেন্টের বিয়ের সময় থেকেই ঐশ্বরিয়া-অভিষেক বিবাহ বিচ্ছেদের জল্পনা ঘনীভূত হয়। বিয়ের আনুষ্ঠানিকতায় বচ্চন পরিবারের সঙ্গে দেখা যায়নি ঐশ্বরিয়াকে। একে-একে দুই মিলাতে থাকেন নেটিজেনরা। তবে কী দীর্ঘদিনের দাম্পত্য জীবন ইতি টানছেন তাঁরা—এমন প্রশ্ন ঘুরতে থাকে। যদিও এ নিয়ে মুখ কুলুপ এঁটে আছেন এই দম্পতি।
Leave a Reply