বিজ্ঞপ্তি : দেশের দ্বিতীয় স্বাধীনতা অর্জনে বিএনপির প্রতিটি নেতাকর্মীর অবিচল সংগ্রাম ও অবদানের প্রতিফলন উলেখ করে মহানগর বিএনপির আহবায়ক এড. শফিকুল আলম মনা বলেছেন, বিএনপির নেতাকর্মীরা দেড় যুগেরও বেশি সময় ধরে গুম-খুন, হামলা-মামলা, দমন-দুর্বৃত্তায়নের শিকার হয়েও রাজপথে ছিলো বলেই খুনি হাসিনা সরকারের পতন হয়েছে। জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থানে সাংগঠনিকভাবে সর্বোচ্চ ভূমিকা রেখেছে প্রতিটি নেতাকর্মী। আর সে ভুমিকার ফসল হিসেবে ৫আগস্ট ছাত্র-জনতার চুড়ান্ত আন্দোলনে ফ্যাসিবাদের পতন হয়েছে। এখন আমাদের একটাই লক্ষ্য গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করা।
মঙ্গলবার বিকাল ৪টায় ২৪ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলরের কার্যালয়ে ২৪নং ওয়ার্ড বিএনপির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি আরো বলেন, জুলাই-আগস্টের গণহত্যায় বিএনপির ৪২২ জন নেতাকর্মী নিহত হয়েছে।
প্রধান বক্তার বক্তব্যে মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিন বলেন, গেল ৫আগস্টের বিজয়ের পেছনে রয়েছে অসংখ্য নির্যাতিত মানুষের বেদনার অপ্রকাশিত ইতিহাস। গুম হওয়া ছেলের ফেরার প্রতীক্ষায় মা। স্বামী হারানো বেদনাবিধুর স্ত্রীর অনন্ত আর্তনাদ। পঙ্গু বাবার জন্য সন্তানের হৃদয়বিদারক হাহাকার। আর কারাগারে বন্দি ভাইয়ের জন্য বোনের নীরব প্রার্থনা। তাদের সবার ১৭ বছরের রক্ত, শ্রম ও অশ্র“ দিয়ে, প্রতিটি পরিবারের ক্ষোভ, ক্রোধ ও অব্যক্ত বিস্ফোরণ বুকে ধারণ করে শেখ হাসিনার ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে লড়াই চলমান ছিল। যারা ১৭ বছর লুটপাট করেছে, অত্যাচার করেছে, মানুষ গুম-খুন করেছে তারা এখনো দেশ ছেড়ে যায়নি। আমাদের যে সংগ্রাম ছিলো ফ্যাসিবাদ মুক্ত বাংলাদেশ সে সংগ্রাম এখনো শেষ হয়নি। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন আমাদের আরো পথ পাড়ি দিতে হবে, আরো লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে।
২৪নং ওয়ার্ড বিএনপির আহবায়ক আরশাদ আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সম্মেলনের উদ্বোধন করেন সদর থানা বিএনপির আহবায়ক কে এম হুমায়ুন কবীর। বিশেষ অতিথি ছিলেন নগর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক শেখ সাদী। বিশেষ বক্তা ছিলেন সদর থানা বিএনপির সদস্য সচিব মোলা ফরিদ আহমেদ। বক্তৃতা করেন ও উপস্থিত ছিলেন ফকরুল আলম, চৌধুরী শফিকুল ইসলাম হোসেন, একরামুল কবীর মিল্টন, মিজানুর রহমান মিলটন, আলী আক্কাস, শামীম কবীর, আজিজা খানম এলিজা, ব্যবসায়ী কাজী ফিরোজ, পারভিন আক্তার, মনিরুজ্জামান মনি, জিএম মঈন উদ্দিন, ডা. আব্দুস সালাম, হাসান আল মামুন বাপ্পি, আসাদুজ্জামান লিটন, রেজাউল আমিন সাবু, আইয়ুব আলী, শেখ মনিরুজ্জামান, আব্দুস সালাম, আফজাল হোসেন, হাবিবুর রহমান, মো. নাসির উদ্দিন, বজলুর রহমান রাজা, শেখ মিজানুর রহমান, বায়েজিদ হোসেন, নজরুল ইসলাম সবুজ, কাওসারী জাহান মঞ্জু, কাকলী খান প্রমূখ।
সম্মেলনের দ্বিতীয় পর্বে কাউন্সিলরদের ভোটে মনিরুজ্জামান মনি সভাপতি, বায়েজিদ হোসেন সাধারণ সম্পাদক ও সরোয়ার মাতুবক্ষরকে সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত ঘোষনা করেন নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আহবায়ক বেগম রেহানা ঈসা।
Leave a Reply