নড়াইল প্রতিনিধি: নড়াইলের কালিয়ায় আকস্মিক নদী ভাংগনে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে অনেক পরিবার। বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন কালিয়া উপজেলার হামিদপুর ইউনিয়নের বিষ্ণুপুর গ্রামের পূর্বপাড়া এলাকার বাসিন্দারা। আকস্মিক নবগঙ্গা নদীর ভাংগনে বিষ্ণুপুর গ্রামের পূর্বপাড়ার অনেক পরিবার নিঃস্ব হয়েছে। তারা খোলা আকাশের নীচে মানবেতর জীবনযাপন করছে।
বুধবার (২ অক্টোবর) দুপুরে সরজমিন বিষ্ণপুর গ্রামে গিয়ে জানা যায়, আকস্মিক এ নদী ভাংগনে মুহুর্তের মধ্যে বিষ্ণপুর গ্রামের রিলু ফকির, মাকসুদ ফকির, মাহাবুর ফকির, রোকেয়া বেগম, মহাদত শেখ, জনি শেখ, ইমদাদ মাষ্টার, ঝর্না বেগম, রিপনা বেগম, কালু সরদার, শহিদুল মোল্যা-সহ ১১ টি পরিবারের বসতঘর নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। পরবর্তীতে আরও ১৫ টি পরিবার কিছু মালামাল সরাতে পারলেও রক্ষা হয়নি বসতভিটা। এ ছাড়া তীরবর্তী একটি মসজিদসহ অনেকগুলো পরিবার রয়েছে চরম ঝুকিতে। ্আতংকে নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছেন ওই এলাকার বাসিন্দারা। অনেকের ফসলী জমি চলে গেছে নদীগর্ভে। বিলীন হয়েছে সর্বস্ব দিয়ে তৈরি করা আশ্রয়স্থল ঘরবাড়ি। অতি দ্রুত নদী শাসনের ব্যবস্থাসহ পুনর্বাসনের দাবী জানান ভুক্তভোগীরা।
জেলা বিএনপি’র সভাপতি জাহাঙ্গীর বিশ^াস বলেন ভাংগন এলাকায় ক্ষতিগ্রস্থদের মধ্যে যারা একেবারেই হতদরিদ্র, তাদের যাতে স্বাভাবিক জীবন যাত্রা ব্যহত না হয় সে বিষয়টি গুরুত্বে সাথে দেখা হচ্ছে। তাদেরকে বিপদের মুহুর্তে প্রয়োজনীয় সাপোর্ট দেয়া হবে। মানবিক কারনে ওই এলাকার সামর্থবানদের সকলের প্রতি ক্ষতিগ্রস্থদের পাশে থাকার অনুরোধ জানান তিনি। তাছাড়া তিনি ভাংগন রোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ডের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলেছেন বলে জানান।
এদিকে মঙ্গলবার (০১ অক্টোবর) খুলনা বিভাগীয় তত্তাবধায়ক প্রকৌশলী সবিবুর রহমান ও জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রকৌশলী উজ্জল কুমার সেন ভাংগ এলাকা পরিদর্শন করেছেন।
জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রকৌশলী উজ্জল কুমার সেন বলেন, ভাংগন এলাকার বাস্তব দেখে জরুরী ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। আর দ্রুতই নবগঙ্গা নদীতে ঝুঁকিপূর্ণ জায়গা চিহ্নিত করে ভাংগন রোধে স্থায়ীভাবে একটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে।
খুলনা বিভাগীয় তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী সবিবুর রহমান বলেন, মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের মাধ্যমে বিষয়টি অবগত হয়ে সরেজমিনে পরিদর্শন করেছেন। ভাংগনের প্রবনতা কী ভাবে দ্রুত নিয়ন্ত্রণ করা যায় সে বিষয়ে জরুরী ভাবে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
Leave a Reply