ডেস্ক নিউজ : খুলনা মহানগর বিএনপি’র আহবায়ক এড. শফিকুল আলম মনা বলেছেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ছিল শুধুমাত্র কোটা বিরোধী আন্দোলন। ফ্যাসিবাদের ভয়াল থাবায় যখন ছাত্র আন্দোলন প্রায় থমকে গিয়েছিল ঠিক সেই মুহূর্তেই জাতীর কান্ডারীর ভূমিকায় এই আন্দোলনকে ছাত্র জনতার আন্দোলনে রূপ দিয়েছিলেন দেশনায়ক তারেক রহমান। দেশের মানুষ ফ্যাসিস্ট সরকার থেকে মুক্তি চেয়েছিল একটি গণতান্ত্রিক সরকারের জন্য। একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠা না হওয়া পর্যন্ত আমাদের রক্তে ভেজা বিপ্লবকে সফল বলা যাবে না। গতকাল সোমবার বিকাল ৩টায় নগরীর ১৩নং ওয়ার্ড বিএনপি’র দ্বিবার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, গণতন্ত্রের পথ রুদ্ধ করতে দেশী-বিদেশী ষড়যন্ত্র চলছে। রাষ্ট্রীয় কাঠামো সংস্কারের অগ্রগতি দৃশ্যমান না হলে জনমনে অসন্তোষ তৈরির সম্ভাবনা রয়েছে। সংস্কারের সময়কাল নির্ধারণ করা না হলে লক্ষ্যে পৌঁছানো ক্রমান্বয়ে কঠিন আকার ধারণ করবে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার অল্প সময়ের জন্য ক্ষমতায় আছে। তারা দেশ পরিচালনা করতে যেখানেই যাচ্ছে, সেখানেই নানা ষড়যন্ত্রের শিকার হচ্ছেন। আইন-শৃঙ্খলার অবনতি কিভাবে ঘটানো যায় সেই চক্রান্তে ওই চক্রান্তকারী গোষ্ঠী লেগে আছে। আমাদের দায়িত্ব হলো ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে আরও বেশি সজাগ থাকা। কারণ দেশকে আমাদের রক্ষা করতে হবে। জাতিকে রক্ষা করতে হবে। বিগত দিনে যারা অত্যাচার-নির্যাতন, খুনের সঙ্গে জড়িত ছিল, ডাকাতি-সন্ত্রাসের সঙ্গে জড়িত ছিল সেই চক্রই বিভিন্ন ভাবে আঘাত হানছে। তারা এ সরকারকে দেশ পরিচালনায় ব্যর্থতার অভিযোগ আনার অপচেষ্টা করছে।
প্রধান অতিথি মনা আরো বলেন, দুই সহস্রাধিক শহিদ ছাত্র-জনতার রক্তে অর্জিত বিপ্লবকে সফল করতে বিএনপি বদ্ধ পরিকর। তারেক রহমানের ইস্পাত কঠিন নেতৃত্বে বিএনপি সুষ্ঠু ধারার রাজনীতি ধরে রাখতে সক্ষম হয়েছে। তিনি বলেন, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া স্বৈরশাসক এরশাদের পতন ঘটিয়ে সংসদীয় গণতন্ত্র চালু করেছিলেন। বর্তমানে তারেক রহমান জনগণকে নিয়ে দেশের ক্রান্তিকালের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। অর্থাৎ বাংলাদেশের সংকটে বারবার কান্ডারীর ভূমিকা পালন করেছেন জিয়া পরিবার।
ওয়ার্ড বিএনপি’র আহবায়ক শাহিনুল ইসলাম পাখির সভাপতিত্বে সম্মেলনের উদ্বোধন করেন থানা বিএনপি’র আহবায়ক শেখ জাহিদুর রহমান। বিশেষ অতিথি ছিলেন রেহেনা ঈসা ও থানা বিএনপি’র সদস্য সচিব হাবিবুর রহমান বিশ্বাস। সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ও বক্তব্য রাখেন নগর বিএনপি’র যুগ্ম-আহবায়ক স ম আব্দুর রহমান, এড. নুরুল হাসান রুবা, আবুল কালাম জিয়া, একরামুল হক হেলাল, চৌধুরী শফিকুল ইসলাম হোসেন, শেখ সাদী, জাহিদুল হোসেন, বিপ্লবুর রহমান কুদ্দুস, ফারুক হোসেন হিল্টন ও আলী আক্কাস প্রমুখ।
সম্মেলনের দ্বিতীয় পর্বে কাউন্সিলরদের ভোটে সভাপতি পদে শেখ শাহিনুল ইসলাম পাখি, সাধারণ সম্পাদক পদে আবুল কালাম ও সাংগঠনিক সম্পাদক পদে সহিদুজ্জামান জুয়েলকে নির্বাচিত ঘোষনা করেন নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আহবায়ক সৈয়দা রেহানা ঈসা।
আজকের সম্মেলন : আজ মঙ্গলবার বিকেল ৩টায় ১১নং ওয়ার্ড বিএনপি’র দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে।
Leave a Reply