আন্তর্জাতিক ডেস্ক : দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল পদত্যাগের ঘোষণা দেওয়ার পর থেকে, আম আদমি পার্টির (এএপি) শীর্ষ পদে কে আসতে পারেন, তা নিয়ে আলোচনা চলছে। কেজরিওয়াল বলেছেন, তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগের বিষয়ে জনরায় না পাওয়া পর্যন্ত তিনি মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্বে ফিরবেন না। এই পরিস্থিতিতে, এএপি নেতাদের মধ্যে কারা কেজরিওয়ালের স্থলাভিষিক্ত হতে পারেন, তা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি এ খবর জানিয়েছে।
এএপি নেতা মনীশ সিসোদিয়া আজ কেজরিওয়ালের বাসভবনে সাক্ষাৎ করেছেন। তিনি সংবাদমাধ্যমে কোনও মন্তব্য না করলেও, ধারণা করা হচ্ছে তারা দিল্লির পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রীর বিষয়ে আলোচনা করেছেন।
যদিও দিল্লিতে আগামী বিধানসভা নির্বাচন আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে, কেজরিওয়াল নভেম্বরেই মহারাষ্ট্র নির্বাচনের সঙ্গে দিল্লির নির্বাচন চেয়েছেন। তবে, সিসোদিয়া ও কেজরিওয়াল উভয়েই বলেছেন যে তারা জনগণের সমর্থন নিয়ে পুনরায় নির্বাচিত না হওয়া পর্যন্ত দায়িত্বে ফিরবেন না। এর অর্থ, এএপি’র শীর্ষ নেতারা মুখ্যমন্ত্রীর দৌড়ে নেই।
এএপি নেতৃত্ব খুব শিগগিরই সিদ্ধান্ত নেবে, কে কেজরিওয়ালের স্থলাভিষিক্ত হবেন। কয়েক মাসের জন্য হলেও, এএপি এমন একজন নেতা বেছে নিতে চায়, যিনি দলের প্রধান ইস্যুগুলোতে দলের অবস্থান তুলে ধরতে সক্ষম এবং দলের ভেতরেও যার গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে।
আলোচনায় থাকা পাঁচ নেতা
অতিশি: দিল্লির শিক্ষামন্ত্রী অতিশি, যিনি শিক্ষাব্যবস্থা ও জনকর্ম বিভাগের মতো গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে রয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রীর পদপ্রার্থী হিসেবে শীর্ষে রয়েছেন। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পড়াশোনা করা এবং রোডস স্কলার অতিশি, দিল্লির স্কুল শিক্ষাব্যবস্থার সংস্কারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। ৪৩ বছর বয়সী এই নেত্রী কেজরিওয়াল ও সিসোদিয়ার কারাবাসের সময় দলের অবস্থান স্পষ্ট করেছিলেন।
সৌরভ ভরদ্বাজ: বৃহত্তর কৈলাশ থেকে তিনবারের নির্বাচিত বিধায়ক সৌরভ ভরদ্বাজ দিল্লি সরকারের নজরদারি ও স্বাস্থ্য বিভাগের দায়িত্বে রয়েছেন। সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে কাজ করা ভরদ্বাজ, আগের ৪৯ দিনের কেজরিওয়াল সরকারের মন্ত্রীও ছিলেন। দলের জাতীয় মুখপাত্র হিসেবেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন তিনি।
রাঘব চাড্ডা: রাজ্যসভার সংসদ সদস্য রাঘব চাড্ডা এএপি’র অন্যতম শীর্ষ মুখ। ৩৫ বছর বয়সী এই নেতা দল গঠনের শুরু থেকেই যুক্ত রয়েছেন এবং ২০২২ সালে পাঞ্জাব নির্বাচনে দলের জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন।
কৈলাশ গেহলট: আইনজীবী কৈলাশ গেহলট দিল্লি সরকারের সিনিয়র সদস্য এবং পরিবহন, অর্থ ও স্বরাষ্ট্র বিভাগের মতো গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করছেন। ২০১৫ সাল থেকে নাজাফগড়ের বিধায়ক গেহলট, দিল্লি হাইকোর্ট এবং সুপ্রিম কোর্টে আইনজীবী হিসেবে কাজ করেছেন।
সঞ্জয় সিং: রাজ্যসভার সদস্য সঞ্জয় সিং এএপি’র অন্যতম পরিচিত মুখ। ৫২ বছর বয়সী এই নেতা খনন প্রকৌশল বিষয়ে ডিপ্লোমা অর্জন করেছেন এবং সংসদে জোরালো বক্তৃতার জন্য পরিচিত। দিল্লির মদনীতি মামলায় গ্রেফতার হওয়া সিং বর্তমানে জামিনে রয়েছেন।
Leave a Reply