ঢাবিতে যুবককে পিটিয়ে হত্যায় ছাত্রলীগ নেতাসহ আটক ৩ : তদন্ত কমিটি গঠন

প্রকাশিতঃ সেপ্টেম্বর ১৯, ২০২৪, ১৭:৩৩

ভয়েজ ডেস্ক : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক মুসলিম হলে চোর সন্দেহে এক যুবককে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ।

আজ বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) বিকেল সোয়া ৪টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সহায়তায় ফজলুল হক মুসলিম হল থেকে ওই তিন শিক্ষার্থীকে আটক করে শাহবাগ থানার পুলিশ।

আটক শিক্ষার্থীরা হলেন, হল ছাত্রলীগের সাবেক উপবিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক ও পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের জালাল আহমেদ এবং মৃত্তিকা পানি ও পরিবেশ বিভাগের মোহাম্মদ সুমন, পুষ্টি ও খাদ্য বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের মোত্তাকিন সাকিন।

শাহবাগ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আসাদুজ্জামান আটকের তথ্য নিশ্চিত করেছেন। ঢাবি কর্তৃপক্ষ তাদের পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছে বলে জানা গেছে।

তিনি বলেন, ঢাবির ফজলুল হক মুসলিম হলে এক যুবককে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়টির তিন শিক্ষার্থীকে থানা হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। জিজ্ঞাসাবাদে এ ঘটনায় তাদের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেলে গ্রেফতার দেখানো হবে।

এর আগে বৃহস্পতিবার শাহবাগ থানায় মামলার আবেদন করে এজাহার দায়ের করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। পরে আবেদনটি মামলা হিসেবে গ্রহণ করা হয়।

জানা যায়, গতকাল (বুধবার) ৮টার দিকে তাকে আটক করে হলের শিক্ষার্থীরা। রাত ১২টার দিকে তাকে মুমূর্ষু অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে রাত ২টার দিকে তার মৃত্যুর খবর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।

নিহত ব্যক্তির নাম তোফাজ্জল। তার বাড়ি বরগুনা জেলার পাথরঘাটা উপজেলার কাঁঠাল তলি ইউনিয়নে। তার বাবা-মা কেউ বেঁচে নেই। জানা যায়, তিনি মানসিক ভারসাম্যহীন অবস্থায় ছিলেন। একটি ভিডিও চিত্রে দেখা যায়, ফজলুল হক হল শাখা ছাত্রলীগের সাবেক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক উপসম্পাদক জালাল আহমেদসহ হলের ৮-১০ জন শিক্ষার্থী তোফাজ্জলকে মারধর করছেন।

ভোর সাড়ে ৪টায় প্রক্টর সাইফুদ্দিন আহমেদ প্রথমে ঢাকা মেডিকেল কলেজে যান। সেখান থেকে পরে হল প্রাঙ্গণে এসে হলের পুরাতন ভবনের গেস্টরুম ও এক্সেসটেনশনের গেস্টরুম ঘুরে দেখেন। এই দুটি গেস্টরুমেই তোফাজ্জলকে মারা হয়। এসময় তিনি দুটি রুম সিলগালা করে দেন।

এদিকে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বিভিন্ন ব্যানারে রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে এই ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে মানববন্ধন করে দোষীদের শাস্তির আওতায় আনার দাবি জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা। এছাড়াও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে আলোচনা-সমালোচনা চলছে।

Leave a Reply