কাউখালী (পিরোজপুর) প্রতিনিধি: বাংলায় হেমন্তকালের দ্বিতীয় মাস অগ্রহায়ণ চলছে। পঞ্জিকার পাতায় শীতকাল না এলেও উত্তরের হিম হওয়া জানান দিচ্ছে শীতের আগমনি বার্তা। এতেই কাউখালীর বাজারে, রাস্তায়, ব্রীজে ও বিভিন্ন সড়কে ভ্যানে চুলা বসিয়ে, আবার কোথাও অস্থায়ী দোকান বসিয়েও বিক্রি হচ্ছে শীতের পিঠা। ব্যস্ত এই শহরে চলতি পথে কর্মজীবীরা সেখান থেকে পিঠা কিনে খাচ্ছেন, আবার কেউ কিনে বাসায় নিয়ে যাচ্ছেন।
এদিকে অন্যান্যবারের তুলনায় এবার শীতকালীন পিঠার দাম একটু বেশি বলে অভিযোগ ক্রেতাদের। তারা জানিয়েছেন, ৫ টাকায় কোনো পিঠা এখন আর নেই। যে পিঠা কয়েক বছর আগে ২ টাকা দামে খেয়েছেন, সেই সাইজের পিঠার দাম এখন ১০ টাকা। এটাই সর্ব নিম্নমানের পিঠা।
পিঠা বিক্রি ও দাম প্রসঙ্গে মোঃ সেলিম ও তার স্ত্রী বলেন, আমার এখানে রেগুলার পিঠার দাম ১০ টাকা। এছাড়া ২০ ও ৩০ টাকা দামের পিঠা চাহিদা মতো বানিয়ে দেওয়া হয়। যারা বাসায় নিয়ে যান, তাদের বেশিরভাগই ২০ দামের পিঠা অর্ডার করে বানিয়ে নেন। প্রতিদিন ৩ কেজির মতো চালের গুড়া নিয়ে আসি, এটা দিয়ে ১১০-১২০টির মতো পিঠা বানানো যায়। এখনও তো শীত শুরু হয়নি, কয়েকদিন পর ৫ কেজি চালের পিঠাও শেষ হয় যাবে।
এরপর কাউখালী বিন্দুর পোলে যেতেই দেখে মেলে আরেকটি পিঠার দোকানের। আগে এখানে দুটি চটপটি ও ফুচকার দোকান আছে। কিন্তু গত সপ্তাহে আরও একটি পিঠার দোকান শুরু করেছেন এক দোকানি।
জানতে চাইলে পিঠা দোকানি বলেন, আমার এখান কাঁচিখোচা পিঠা ও ভাপা পিঠা পাওয়া যায়। দুই ধরনের পিঠার ক্রেতারাই এখানে আসেন। এখানে কাঁচিখোচা পিঠার সঙ্গে ৬ ধরনের ভর্তা আছে। প্রতি পিস পিঠার দাম ১০ টাকা। এছাড়া ভাপা পিঠা ১০টা পিস হিসেবে বিক্রি করছি।
Leave a Reply