বিনোদন ডেস্ক : বলিউডে সফর শুরুর আগে ঐশ্বরিয়া রাই পেয়েছিলেন বিশ্বসুন্দরীর খেতাব। সেই সময়ে নাকি একেবারেই অন্য রকম দেখতে ছিলেন তিনি। তবে বিশ্বসুন্দরী খেতাব পাওয়ার পরে অনেক পরিবর্তন এসেছে অভিনেত্রীর জীবনে।
তারপরে বলিউডে একের পর এক ছবিতে অভিনয় করেছেন। দুই সময়ের ঐশ্বরিয়াকে নাকি মেলানো যায় না। এমন দাবি করেছেন গায়িকা সোনা মহাপাত্র। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে ঐশ্বরিয়াকে নিয়ে তিনি এ কথা বলেছেন। বিশ্বসুন্দরী হয়ে ওঠার আগেও ঐশ্বরিয়াকে চিনতেন সোনা।
এ গায়িকা সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ‘আমার সব মনে আছে। মুম্বাইতে তখন আমি পরীক্ষা দিতে এসেছিলাম। ঐশ্বরিয়া আমার চেয়ে বয়সে বড় ছিল। কী অপূর্ব দেখতে ছিল তাকে। কথাও বলত খুব ভালো। আর সবচেয়ে বড় ব্যাপার ও খুবই বুদ্ধিমতী ও সপ্রতিভ ছিল।’
তবে বেশ কয়েক বছর পরে এক সাক্ষাৎকারে ঐশ্বরিয়ার কথা শুনে অবাক হন সোনা। কোনও ভাবেই মেলাতে পারছিলেন না। তার কথায়, ‘আমার দেখা ঐশ্বরিয়া রাই তো ইনি নন। এত কূটনৈতিকতা ওর মধ্যে তো ছিল না। এত রেখে ঢেকে কথা বলত না। তারপর ভাবলাম সময়ের সঙ্গে হয়ত পরিবর্তন এসেছে।’
‘তবে ও সত্যিই খুব বুদ্ধিমতী ছিল। এই জগৎ হয়ত অতটা বুদ্ধিমত্তা গ্রহণ করতে সক্ষম নয়। তাই সে নিজেকে পরিশীলিত করেছে। তাই এখন আগের থেকে মিতভাষী। আমি ভুলও হতে পারি।’
প্রসঙ্গত, ঐশ্বরিয়া স্থাপত্যবিদ্যা নিয়ে পড়াশোনা করতে চেয়েছিলেন। পরে সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করেন। শুরু করেন মডেলিং। ১৯৯৪ সালে তিনি বিশ্বসুন্দরীর খেতাব জিতেছিলেন। তারপরেই মণি রত্নমের তামিল ছবিতে অভিনয়ের সফর শুরু তার। তারপরে আর পিছনে ফিরে তাকাননি তিনি।
Leave a Reply